How to Book Product Shipping

১ম ধাপ

পণ্যের নাম, এইচএস কোড নির্বাচন এবং কাস্টমস ডিউটি জানা

আপনি প্রথমে পণ্যের নাম নির্বাচন করবেন এবং এইচএস কোড নির্ধারণ করবেন। এই কোড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য শুল্ক হিসাব করার জন্য ব্যবহার করে। প্রতিটি পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট শুল্ক হার থাকে, যা কেজি প্রতি বা পিস প্রতি নির্ধারিত হয়। আপনি আমাদের প্রতিনিধি বা কাস্টমস ওয়েবসাইট থেকে শুল্কের পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

২য় ধাপ

নিজ দায়িত্বে পণ্য নির্বাচন ও ক্রয় করুন

আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্রয় করতে হবে। সরবরাহকারীর সাথে শিপিং, ডেলিভারি সময়, পণ্যের গুণগত মান ও রিফান্ড নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন। পণ্য কেনার আগে কাস্টমসের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি। যদি সম্ভব হয়, নমুনা পণ্য অর্ডার করে মান যাচাই করুন। নিশ্চিত হোন যে পণ্যটি আপনার প্রয়োজনীয় স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী তৈরি হয়েছে এবং আমদানির সকল আইনি শর্ত পূরণ করে।

৩য় ধাপ

সাপ্লায়ারের মাধ্যমে ওয়্যারহাউসে পণ্য পাঠানো

আপনার সাপ্লায়ার নির্ধারিত ঠিকানায় আমাদের ওয়্যারহাউসে পণ্য পাঠাবে। পণ্য পাঠানোর সময় ইনভয়েস, বিলিং কপি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করতে হবে, যাতে শিপমেন্টের কোনো সমস্যা না হয়। পণ্য গ্রহণের পর আমাদের প্রতিনিধি ইনভেন্টরি চেক করবে এবং নিশ্চিত করবে যে পাঠানো পণ্য আপনার অর্ডারের সাথে মিল রয়েছে। পণ্যের পরিমাণ, প্যাকেজিং ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় সঠিকভাবে যাচাই করা হবে। ভুল বা অনুপস্থিত নথিপত্র থাকলে, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে দেরি হতে পারে।

৪র্থ ধাপ

ওয়্যারহাউস প্রতিনিধির মাধ্যমে পণ্য রিসিভ করা

আপনার পাঠানো পণ্য আমাদের ওয়্যারহাউস প্রতিনিধি গ্রহণ করবে এবং ইনভেন্টরি সিস্টেমে নিবন্ধন করবে। রিসিভের পরে আপনাকে একটি কনফার্মেশন কপি প্রদান করা হবে, যা আপনার সাপ্লায়ারকেও পাঠানো হবে। ওয়্যারহাউসে পণ্য পৌঁছানোর পর এটি পরিদর্শন করা হবে, যাতে কোনো ক্ষতি বা অনুপস্থিতি না থাকে। যদি কোনো ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে জানানো হবে। আপনি চাইলে অনলাইনে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে জানতে পারবেন পণ্যটি কোন অবস্থানে রয়েছে এবং কখন এক্সপোর্টের জন্য প্রস্তুত হবে।

৫ম ধাপ

ওয়্যারহাউসে পণ্য রিসিভের পর এক্সপোর্টের জন্য প্যাকিং

আপনার পণ্য যখন ওয়্যারহাউসে পৌঁছাবে, তখন এক্সপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় প্যাকিং সম্পন্ন করা হবে। আমাদের টিম নিশ্চিত করবে যে পণ্যটি আন্তর্জাতিক শিপিংয়ের জন্য নিরাপদভাবে মোড়ানো হয়েছে। প্যাকেজিংয়ের ধরন পণ্যের সংবেদনশীলতা এবং পরিবহন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, ২-৩ দিনের মধ্যে পণ্য ওয়্যারহাউস থেকে কাস্টমস প্রক্রিয়ার জন্য পাঠানো হবে। প্যাকিং ও শিপিংয়ের সময়সূচি আপনাকে জানানো হবে, যাতে আপনি আগেভাগে পরিকল্পনা করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত রাখতে পারেন।

৬ষ্ঠ ধাপ

পণ্য বাংলাদেশ কাস্টমসে পৌঁছানো ও শুল্কায়ন প্রক্রিয়া

এক্সপোর্টের পর পণ্য বাংলাদেশ কাস্টমসে পৌঁছাবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করবে। শুল্কায়নের পর, আমদানি কর ও অন্যান্য প্রযোজ্য ফি পরিশোধ করতে হবে। যদি শুল্ক সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকে, তবে আমাদের কাস্টমস প্রতিনিধি আপনাকে সহায়তা করবে। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর, পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত করা হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে স্থানান্তর করা হবে। কাস্টমস প্রক্রিয়াটি সাধারণত ১-২ কার্যদিবস সময় নিতে পারে।

৭ম ধাপ,

ওয়্যারহাউসে পৌঁছানোর পর ডেলিভারি শুরু

এক্সপোর্টের পর পণ্য বাংলাদেশ কাস্টমসে পৌঁছাবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করবে। শুল্কায়নের পর, আমদানি কর ও অন্যান্য প্রযোজ্য ফি পরিশোধ করতে হবে। যদি শুল্ক সংক্রান্ত কোনো জটিলতা থাকে, তবে আমাদের কাস্টমস প্রতিনিধি আপনাকে সহায়তা করবে। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর, পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত করা হবে এবং পরবর্তী পর্যায়ে স্থানান্তর করা হবে। কাস্টমস প্রক্রিয়াটি সাধারণত ১-২ কার্যদিবস সময় নিতে পারে।